কেরানীগঞ্জে ড্রেজারে ফসলি জমি ভরাটের মহোৎসব, বিকট শব্দে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর (পোরাহাটি), খালপাড়, কলাবাগ ও নাজিরপুর এলাকাজুড়ে চলছে অনুমোদনহীন ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি, খাল, পুকুর ও জলাশয় ভরাটের মহোৎসব। দিনের বেলায় যেমন, তেমনি রাতের আঁধারেও থেমে নেই এই বেআইনি কার্যক্রম। এতে যেমন হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি ও পরিবেশগত ভারসাম্য, তেমনি বিকট শব্দে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা—বিশেষ করে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এই জমি ভরাট কার্যক্রমের পেছনে রয়েছেন। তারা জমির মালিকদের অনুমতি ছাড়াই ড্রেজার বসিয়ে ভরাট করে ফেলছেন ফসলি জমি। পরে জমির মালিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। রাস্তা কেটে পাইপ বসানোয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীরা বিকট শব্দের কারণে ঘুমাতে পারছে না, লেখাপড়াও বিঘ্নিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষাকালে খালে বিলে পানি আসার সাথে সাথেই বালুবাহী ভলগেট এনে ভাসমান ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে জমি ভরাটের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে প্রভাবশালী চক্র। তেঘরিয়া ইউনিয়নের কলাবাগ, নাজিরপুর, খালপাড়, পাইনা খালপাড় স্কুল সংলগ্ন এলাকা ও কৃষ্ণনগর (পোরাহাটি)সহ বিভিন্ন স্থানে এই অবৈধ ভরাটের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।
একজন কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, “অবিলম্বে এই অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে হবে। আমাদের ফসলি জমি বাঁচাতে হবে। প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। আমরা সাধারণ মানুষ পড়ে আছি বিপদে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, তারা এতদিন জোর করে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রাতের আঁধারে ফসলির জমির মাটি কাটার মহোৎসব চালিয়েছেন। সাধারণ মানুষের জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন বর্ষা মৌসুমে পানি দিয়ে সব ডুবে যাওয়া বালু মুনাফার জন্য সাধারণ মানুষের জমিগুলো ভরাট করে ফেলছেন তারা। জমি ভরাট করেই তারা অনেক বেশি অর্থ দাবি করছে। না-নিতে চাইলে ভয় দেখায়। এখন আবার অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা শুরু করেছেন। দেশ আর কখনো পরিবর্তন হবে না, আগে খেয়েছে আওয়ামীলীগ নেতারা এখন খাচ্ছে বিএনপির নেতারা। মাঝখানে দেশের জন্য জীবন দিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, এভাবে ফসলি জমি ভরাট বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বেআইনি। এতে পরিবেশ, কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও মানুষের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন,“আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। অবৈধ ড্রেজার ও বালু ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং নেওয়া হবে।
https://slotbet.online/