• বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরক মামলার আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েও বহাল মেম্বার বাবুল দেওয়ান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে কাজ করতে চায় : অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া হসপিটালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলো বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কেরানীগঞ্জে সৎ পিতার হাতে কিশোর রাকিবুল হত্যা সিরাজদিখানে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, অভিভাবক সমাবেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত কেরানীগঞ্জে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সিরাজদিখানে সংবাদ সম্মেলন কেরানীগঞ্জে রাজেন্দ্রপুরে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় কৃষি জমি ভরাটের মহোৎসব বাংলাদেশ যুব কল্যাণ সঞ্চয় কমিটি শুভ উদ্বোধন ও কমিটি প্রকাশ করা হলো

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরক মামলার আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েও বহাল মেম্বার বাবুল দেওয়ান

প্রতিনিধি / ৭০ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরক মামলার আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েও বহাল মেম্বার বাবুল দেওয়ান

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. বাবুল দেওয়ান বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আসামি হলেও এখনো বহাল তবিয়তে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন—একজন আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েপ
কীভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকতে পারেন?

 

জানা গেছে, ২০২৪ সালে ছাত্রহত্যার সাথে জড়িত ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবুল দেওয়ানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কিছুদিন কারাগারে থাকলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পান এবং আবার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবুল দেওয়ান দীর্ঘদিন ধরে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের ঘনিষ্ঠ ও তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাট মিয়ার আস্থাভাজন বলেও পরিচিত। এ দুইজনের ছায়াতলে থেকে তিনি প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করেছেন।

একজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“বাবুল ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, সবাই জানে। কিন্তু উনি আবার ফিরে এসে আগের মতই সবকিছু চালাচ্ছেন। যেহেতু উপরে তার লোক আছে, কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।”

তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই, যারা ইউনিয়ন পরিষদে থাকবে, তারা যেন সৎ ও নির্ভেজাল হয়। মামলাবাজ বা দোষী লোক দিয়ে কি ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব?”

 

 

এলাকাবাসীর বড় একটি অংশ মনে করে, একজন আওয়ামীলীগের নেতা
ইউনিয়ন পরিষদের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী আচরণ করছেন। এতে করে জনসাধারণের মধ্যে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা কমছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাবুল দেওয়ান বলেন, আমি এখনো মেম্বার আছি এটা UNO মেডামকে জিগাস করেন। আর বেশি কিন্তু জানতে চাইলে লাট চেয়ারম্যান ইটভাটার অফিসে আইসেন আমি চেয়ারম্যান সাথে সারাদিন থাকি।

 

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফোজিয়া কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/