কেরানীগঞ্জে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি’র উৎপাত!
ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় জরিমানায় সীমাবদ্ধ
কেরানীগঞ্জে ঢাকা প্রতিনিধিঃ তানভির শেখ
রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিকশার অবাধ চলাচল প্রতিরোধে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক। পুরো কেরানীগঞ্জ জুড়ে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি ঘটছে দূর্ঘটনা। কেরানীগঞ্জ উপজেলা ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই উপজেলা দিয়ে যাতায়াত করেন ২১জেলার বাসিন্দা। বুড়িগঙ্গা নদীর এক পাড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও অন্য পাড়ে কেরানীগঞ্জ। গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় জনবসতিও ব্যাপক আর ২১জেলার পরিবহন যাতায়াতের ফলে সড়কে সব সময় জ্যামজট লেগেই থাকে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাতায়াতকারী জনসাধারণ। কদমতলী গোল চত্ত্বর এলাকায় গতকাল শনিবার বিকেলে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য রেকার অপারেটর (ড্রাইভার) আসাদ ডিউটি পোশাকে নেমপ্লেট ছাড়া দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় তাকে তিনটি সিএনজি নাম্বার প্লেটবিহীন অবস্থায় আটক করে যাচাই-বাছাই করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিতে দেখা গেলে প্রতিবেদক তাকে ছেড়ে দেয়ার বিষয় প্রশ্ন করলে সে জানায় তার পরিচিত। তাকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কে আছেন ডিউটিতে এবং সার্জেন্ট কে আছেন তার কি গাড়ির কাগজপত্র চেক করার এবং আটকিয়ে ছেড়ে দেয়ার নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে মাসিক মাসোহারা পেতেন এই কনেস্টবল আসাদ। যদি মাসিক মাসোহারা দিতে দেরি হয় তাহলেই কদমতলীতে গাড়ি আটকিয়ে এভাবে রেখে দেয় ঘন্টার পর ঘন্টা এবং পরে তার সাথে মালিকপক্ষ মীমাংসা করে গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
সচেতন মহল বলছে, এমন কর্মকান্ডের জন্যই দেশ দিন দিন দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে ৫ই আগস্ট পূর্বে রাজনৈতিক নেতাদের দোহাই দিত কিন্তু এখন তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন তাদের এসব অনিয়ম দুর্নীতি করতে বাধ্য করছে কারা তাদের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত এবং এদের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আবারও কোনো না কোনো ব্যানারে তারা দুর্নীতি অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে ফেলবে।
এ বিষয় ট্রাফিক পুলিশের ঢাকা জেলা দক্ষিণের এডমিন মুজিব এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সকালে একটি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং কিছু গাড়ির জরিমানা করেছি। তবে বিকেলে কোনো অভিযান পরিচালনা করি নাই আর আসাদ আমাদের রেকারের ড্রাইভার সে তো গাড়ি আটকানো বা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। সে যদি এমন কোনো কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর নাম্বার প্লেট ছাড়া কোনো গাড়ির একদিনের চালানোর অনুমতি নাই। এসব গাড়ি আটক করার পর যদি কাগজ না থাকে তাহলে আমরা প্রথমবারের জন্য নগদ জরিমানা হিসেবে রেকার বিল করি এবং পরবর্তীতে ধরলে ডাম্পিং করি। তবে ঢাকা জেলায় ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় ডাম্পিং করা যাচ্ছে না।
https://slotbet.online/