জরুরী রক্ত প্রয়োজন। রোগীর সমস্যাঃ ডেলিভারী, রক্তের গ্রুপঃ ও পজিটিভ, পরিমাণ তিন ব্যাগ। স্থান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যোগাযোগঃ ফোন নাম্বার, এভাবেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাধারণ রোগীদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করে দেন ময়মনসিংহ নান্দাইলের ‘অপরাজিতা ব্লাড ফাউন্ডেশন’ এর সদস্যরা। কখনো নান্দাইল, কখনো কিশোরগঞ্জ, কখনো রংপুর, কখনো ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল এইভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এই গ্রুপের সদস্যরা মাসে ১৫-২০ থেকে ব্যাগ রক্ত জোগান দিয়ে থাকে। স্ট্যাটাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পোস্টের নিচে অসংখ্য কমেন্টস আসতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে রক্তের ব্যবস্থাও হয়ে যায়। অপরাজিতা ব্লাড গ্রুপের ২৫ জন অ্যাডমিন ফেসবুকে সবসময় এভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে সাধারণ রোগীদের রক্তের জোগান দেন। এই গ্রুপে প্রায় ৯ হাজার সদস্য রয়েছেন। রক্তদানের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে মানব সেবায় নিয়োজিত থাকেন এ সংগঠনের সদস্যরা। অপরাজিতা ব্লাড ফাউন্ডেশন গত এক বছরে প্রায় ১৮৭৬ ব্যাগ ব্লাড ম্যানেজ করে সারা বাংলাদেশ জুরে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের বিনামূলে বিতরণ করেন। এছাড়াও এই সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। অপরাজিতা ব্লাড ফাউন্ডেশন ফান্ড গ্রুপের পক্ষ থেকে তারা প্রথম প্রজেক্ট : অসহায় বোনের চিকিৎসা বাব্দ : ৩১০০০ টাকা, ২য় প্রজেক্ট : ১০ জন ছাত্র ছাত্রীদের কোরআন শরিফ উপহার ১৫০০ টাকা, ৩য় প্রজেক্ট একটা মসজিদে মাইক দেওয়া হয় ২১০০ টাকা, ৪র্থ প্রজেক্ট শীত কালীন কম্বল বিতরণ হয় ১৭৯৮০ টাকা। ৫ম প্রজেক্ট : এতিম বাচ্চাদের ব্লাডের ট্রান্সমিশন খরচ ২০৪০ টাকা, চাঁদপুর ৬ষ্ঠ প্রজেক্ট একটা এতিমখানায় ইফতার বাবদ ৪০০০ টাকা, ৭ম প্রজেক্ট : ঈদুল ফিতর এর খাদ্যদ্রব্য উপহার ১৭৩১৫ টাকা ৮ম প্রজেক্ট : ইদুল আযাহা খাদ্য দ্রব্য বিতরন ১৮৮৫০ টাকা ৯ম প্রজেক্ট : বন্যা কবলিত এলাকা, ফেনি ১৮০০০ টাকা, ১০ম প্রজেক্ট : এক্সিডেন্ট এর রোগী চিকিৎসা বাবদ ৫১০০ টাকা ১১তম অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ ৭০ পিছ ৩০ হাজার টাকা সর্বমোট তাদের ফান্ড গ্রুপ থেকে ১৮৩৮৮৫ টাকা অসহায় এবং মসজিদ মাদ্রাসায় উপহার স্বরূপ প্রধান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার ১নং বীর বেতাগৈরে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাছে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী পালন করে এই সংগঠন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অপরাজিতা ব্লাড ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা সুবীর চক্রবর্তী বাপপী, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তমাল হুসাইন শরিফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মাসুন খান, শিক্ষা অনুরাগী আব্দুস সাত্তারসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সুবীর চক্রবর্তী বাপপী বলেন, আমাদের সংগঠনটি এখন ফেসুবক পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে সেবামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সারাদেশে এ সংগঠনের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এই যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়মিত রক্তদান করেছেন রক্তযোদ্ধারা। ভবিষ্যতেও আমাদের এই সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।