হালুয়াঘাটে থামছেই না চোরাকারবারীদের দৌড়াত্ব
সুমন আহম্মেদ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা যেন হয়ে উঠেছে চোরাকারবারীদের রাজত্ব। প্রশাসনের অক্লান্ত অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না চোরাচালান ব্যবসা। কখনো গরু, কখনো জিরা, কখনো চিনি, কখনো কম্বল, কখনো ভারতীয় মদ, কখনো ফেনসিডিল আবার কখনো ইয়াবা এভাবেই প্রতিনিয়ত দিনের পর দিন জব্ধ হচ্ছে চোরাচালানকৃত অবৈধ পণ্য। গত ০৭ই জানুয়ারী হালুয়াঘাট বাজারের প্রধান সড়কে দিয়ে যাচ্ছিলেন গরু বোঝাই বিজিবির গাড়ী। পরে জানা যায় বাঘাইতলা ও বানাই চিংড়ি নামক স্থান হতে ভারত হতে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা ১৯টি গরু জব্দ করেছে ময়মনসিংহ ব্যাটলিয়ন (৩৯) বিজিবি, তেলিখালি বিওপি। যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা। অভিযান চলাকালীন সময়ে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান চোরাকারবারীরা। গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি উত্তর পাড়া এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬০ বোতল ফেনসিডিলসহ মহিষলেটি গ্রামের মৃত জলিলের পুত্র শাহ আলম ও মইজ উদ্দিনের পুত্র মাহফুজ আলম কে গ্রেফতার করা হয়। গত ২০ ডিসেম্বর বিপুল পরিমানে কম্বলসহ ২জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। গত ১১ই ডিসেম্বর ২০২৪ মনিকুড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে নূর সাহাদ ওরফে অপুকে ভারতীয় মদসহ আটক করে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ নলকুড়া গ্রামের তপন রিছিলের ছেলে রুনাল রেমা, রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাহাদত ও মুজাখালী গ্রামের বুলবুলের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ২০ বোতল ভারতীয় মদসহ আটক করে থানা পুলিশ। গত ২১ শে নভেম্বর বাদল মিয়া নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ আটক করে থানা পুলিশ। গত ১৭ই নভেম্বর উপজেলার সীমান্তবর্তী কদমতলী বাজার নামক স্থানে ২ হাজার ৭৩০ কেজি ভারতীয় জিরা জব্দ করে বিজিবি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৩ লাখ টাকা। ঠিক তার ২দিন আগে ১৫ই নভেম্বর উত্তর নলকুরা নামক স্থান থেকে ২ হাজার ৫২০ কেজি ভারতীয় জিরা জব্দ করে বিজিবি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল ৩০ লক্ষ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে হয়ত ধ্বংস হয়ে যাবে যুব সমাজ ও বৈধপথে সরকারকে কর দিয়ে পন্য আমদানী করা আমদানীকারক। প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রতি এদিকে সুদৃষ্টি দিয়ে কঠোরভাবে চোরাচালান কারবারীদের দমন করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
https://slotbet.online/