কেরানীগঞ্জে পুলিশের নাকের ডগায় অবৈধ পলিথিন ব্যবসা: প্রশাসনের উদাসীনতা
কেরানীগঞ্জে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায়
বাবুবাজার ব্রিজের কদমতলী এলাকায় অবৈধ পলিথিন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পরিবহনের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৮টায় এ জে আর কুরিয়ার সার্ভিসের একটি গাড়িতে সন্দেহভাজনভাবে অবৈধ পলিথিন বহন করা হচ্ছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে গাড়িটি থামিয়ে নিকটস্থ থানায় খবর দেয়।
পরে এ জে আর কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার এসে পলিথিন বহনের সত্যতা স্বীকার করেন। ঘটনাটি দক্ষিণ থানার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং দায়ভার নিতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে, ঘটনাটি কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলামকে জানানো হলেও তিনি তার ব্যস্ততার কথা বলে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
পরে থানার সাব ইন্সপেক্টর ইউসুফ আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবৈধ পলিথিন বহনের বিষয় অবগত হয়ে ওসি মাজহারুলকে জানান। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি গাড়িটি থানায় নিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সে সময় তাকে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হবে কি না জিজ্ঞেস করা হলে সাংবাদিকদের জানান, আমি ছাড়তে পারবো না এবং থানায়ও নিতে পারবো না। গাড়িটি এখানেই থাকবে সকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন। পরবর্তীতে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে গাড়িটিও কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়।
অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ ক্রমেই বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকির কারণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ নভেম্বর থেকে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তবে গত ১৫ বছরে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের মদদে পলিথিনের ব্যবসা অবাধে পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যবসা থেকে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন নিয়মিত মাসোহারাও পেয়ে আসছে।
বর্তমান সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ কার্যক্রমে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বাজার মনিটরিং কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, এবং ৩ নভেম্বর থেকে শপিং মল ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পরিবেশ অধিদপ্তরের স্ট্রাইকিং টিম এই অভিযানে অংশ নিয়ে ব্যবস্থাও নিচ্ছে।
সরকারের এ উদ্যোগে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সাধুবাদ জানালেও প্রশাসনের কিছু সদস্যের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
https://slotbet.online/